চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের কাশেমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঈদগাঁহ মাঠ ও মসজিদে দানকৃত জমির পুকুরের অংশ ভড়াট করে জবর দখলের করে পাকা মার্কেট নির্মানের অভিযোগ উঠেছে জিন্নাগড় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ দুলালের বিরুদ্ধে। রাজনৈতি প্রভাব খাটিয়ে বাজার মসজিদ ও ঈদগাঁহ মাঠের পুকুরের অংশ ভরাট করে প্রায় ২কোটি টাকার জমি জবর দখল করে দোকান ঘর ও মার্কেট নির্মান কাজ শুরু করেছেন। ইউপি সসদ্য প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় মজসিদের মুসুল্লিদের বাধা উপেক্ষা করে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মসজিদ কমিটি ও ঈদগাঁহ মাঠ কমিটি সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৬৫ বছর আগে মৃত ফজলুল হক মাস্টারগং থেকে মৃত মিনহাজ উদ্দিন তালুকদার ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে ওই জমি মিনহাজ উদ্দিন তালুকদার কাশেমগঞ্জ বাজার মসজিদ ও ঈদগাঁহ মাঠ নির্মানের জন্য দান করেন। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ ও ঈদগাহের ওই জমি দখলে থাকলেও জিন্নগড় ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ দুলালগংরা ওই জমিতে অবস্থিত মসজিদের পুকুরের কিছু অংশ ভড়াট করে প্রচীর দিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেন। মসজিদের স্থানীয় একাধিক মুসল্লী ও এলাকাবাসী বাধা দিলে ও ওই ইউপি সসদ্য প্রভাবশালী হওয়ায় বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মিনহাজ উদ্দিন তালুকদার মসজিদ ও ঈদগাঁহ নির্মানের জন্য জমি দান করলেও ওই দানকৃত জমি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দুলাল মেম্বার ও তার সেনা সদস্য ভাই মোসলেম ও ইকবালসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা একত্রিত হয়ে বাজার মার্কেট নির্মাণে জবর দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। দানবীর মৃত মিনহাজ উদ্দিন তালুকদারের ছেলে সাবেক ই্উপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, তার বাবা মিনহাজ উদ্দিন তালুকদার স্থানীয় ফজলুল হক মাস্টার গংদেও কাছ থেকে প্রায় ৬৫ বছর আগে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে কাশেমগঞ্জ বাজার মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ নির্মানের জন্য দান করেছেন। তার মৃত্যুর বহু বছর পর কিসের অনুকুলে মসজিদ ও ঈদগাঁহ মাঠের পুকুরের অংশ ভড়ারট করে ইউপিসদস্য দুলাল দানকৃত জমিতে মার্কেট নির্মান কাজ শুরু করছেন তা আমার জানা নাই। তবে মসজিদ ও ঈদগাঁহ মাঠ নির্মানের জন্য আমার বাবার দান করে দেয়া ৪০ শতাংশ জমির সকল কাগজপত্র রয়েছে। ইউপি সদস্য দুলালের ভাই রংপুর কেন্টনমেন্টে সার্জেন্ট পদে কর্মরত মোসলেম জানান, আমার আত্মীয় স্বজনরা এই জমি দান করেছেন। এই জমিতে মার্কেট নির্মাণে এবং মার্কেটের সৌন্দর্যবর্ধনে জন্য পুকুরের কিছু অংশ ভড়াট করে মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ কমিটি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং চরফ্যাসন থানার ওসির সমঝোতায় কিছু টাকার বিনিময়ে ওই জমিতে আমরা স্থাপনা নির্মাণ করছি। যদিও ঈদগাহ ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক পাটোয়ারী জানান, দুলাল মেম্বারগংরা কিভাবে ঈদগাঁহ ও মসজিদের পুকুরের অংশ ভড়াট করে মার্কেট নির্মাণ করছে এটা আমার জানা নেই। আমি বাঁধা দিলে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন মিয়া জানিয়েছেন ঈদগাঁহ ও মসজিদের কমিটিকে কিছু টাকা দিয়ে দিবে। এর বাহিরে আমি কিছু জানিনা। ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ দুলাল জানান, ঈদগাহ মাঠ কমিটির সঙ্গে সমঝোতায় কাজ করছি। এবং সমোঝতার মাধ্যমেই তিনি মার্কেট নির্মান কাজ শুরু করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.হোসেন মিয়া জানান, ইউপি সদস্য দুলালগংরা ওই জমির বিনিময়ে অন্য যায়গা দিয়ে ঈদগাঁহ ও মসজিদের শৌচাগাড় নির্মানের জন্য ৫ শতাংশ জমি দিয়েছেন। এবং ঈদগাঁহ কমিটিকে কিছু টাকাও দিবে এমন শর্তে ইউপি সদস্য দুলালরা সেখানে মার্কেট নির্মাণ করছে।
Leave a Reply